ডিপ্লোমা ইন ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং একটি গুরুত্বপূর্ন ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্স যেখানে ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং এর বিভিন্ন শাখার কাজের তাত্ত্বিক ও ব্যাবহারকি শিক্ষা দেয়া হয়। এনালগ ইলেকট্রনননিক্স, ডিজিটাল ইলেকট্রনিক্স, কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং, বায়োমেডিকেল ইঞ্জিনিয়ারিং, কম্পিউটার, রেডিও-টেলিভিশন ইঞ্জিনিয়ারিং থেকে শুরু করে রাডার এন্ড নেভিগেশন ও স্যাটেলাইট কমিউনিকেশনের মত অনেক গুরুত্বপূর্ন বিষয় রয়েছে ৪ বছর মেয়াদী এই কোর্সে।
ইলেকট্রনিক্স বিভাগের চাকুরীর ক্ষেত্র সমূহঃ
ইলেকট্রনিক্স বিভাগ থেকে ডিপ্লোমা পাশ করার পরে শিক্ষার্থীরা সরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে সাব এস্ট্যিান্ট ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে চাকুরীর সুযোগ পাবে। এর মধ্যে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড, বাংলাদেশ টেলিভিশন, বাংলাদেশ বেতার, সরকারি হাসপাতালে বায়োমেডিকেল ইঞ্জিনিয়ার, পাওয়ার প্লান্ট, ইলেকট্রিক্যাল গ্রীড কোম্পানী, বিটিসিএল, অপটিক্যাল ফাইবার কোম্পানী, টেলিফোন বোর্ড, সরকারী ভোকেশনাল শিক্ষক, এছাড়া বেসরকারি হাজারো ইলেকট্রনিক্স গুডস কোম্পানী, টেলিভিশন চ্যানেল, মোবাইল অপারেটর কোম্পানী, কমিউনিকেশন কোম্পানী, ইন্ডাষ্ট্রিয়াল অটোমেশন সেক্টরে প্রতুল চাহিদা রয়েছে। এমনকি বাংলাদেশে বর্তমানে ইলেকট্রনিক্স বিভাগ থেকে পাশ করা শিক্ষার্থীদের তুলনায় অনেক বেশি সংখ্যক চাকুরীর সুযোগ রয়েছে।
অন্যান্য বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের তুলনায় কেন খাজা পলিটেকনিক ইনষ্টিটিউটে ভর্তি হবেন?
ইনষ্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা কোর্স শেষে দেশের নামকরা সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত আছে তা ইতমধ্যে আমাদের তথ্যে উল্লেখ করা হয়েছে। আমাদের শিক্ষার্থীদের এই সাফল্যের পেছনে রয়েছে প্রতিষ্ঠানের মানসম্মত পরিবেশ, অভিজ্ঞ শিক্ষক মন্ডলীর নিবিড় পর্যাবেক্ষন, উন্নত মানের একাধিক ল্যাব ও ওয়ার্কশপ যেখানে থিওরী শেখার পাশাপশি শিক্ষার্থীরা ব্যাবহারিক শিক্ষায় পারদর্শী এবং এই ব্যাবহারিক শিক্ষার জন্য যে কোন প্রতিষ্ঠানের প্রয়োজন আধুনিক যন্ত্রপাতি সমৃদ্ধ ল্যাব। ইনষ্টিটিউটের ইলেকট্রনিক্স বিভাগের জন্য রয়েছে ২টি আলাদা ল্যাব যেখানে আধুনিক পিএলসি, মাইক্রোকন্ট্রোলার, রোবোটিকস এর যন্ত্রপাতি দিয়ে ল্যাব সুসজ্জিত হয়েছে, এখানকার শিক্ষার্থীরা নিয়মিত ল্যাবের পাশাপাশি অতিরিক্ত ব্যাবহারিক ক্লাস করার মাধ্যমে হাতেকলমে কাজ করার দক্ষতা অর্জন করে যার কারনে দেশের জব মার্কেটের চ্যালেঞ্জ নিয়ে নিজেদের অবস্থান তৈরি করে নিচ্ছে ইনষ্টিটিউট থেকে পাশ করা শিক্ষার্থীরা।
ভর্তির যোগ্যতাঃ
যে কোন বিভাগ হতে নূন্যতম ২.০০ জিপিএ সহ এসএসসি/সমমান পাশ
অন্যান্য সুবিধাঃ
# এসএসসির জিপি ভিত্তিক টিউশন ফি ১০% থেকে ১০০% মওকুফের সুযোগ। এ+ প্রাপ্তদের টিউশন ফি ব্যাতিত পড়ার সুযোগ।
# ১০০% ছাত্র ও ছাত্রীদের জন্য হালিমা-আকবর ফাউন্ডেশন কর্তৃক ৪০,০০০/- টাকা উপবৃত্তি ও দরিদ্র মেধাবীদের বিশেষ সুবিধা।
# মেয়েদের জন্য বেতনের ২৫% ছাড়ে পড়ার বিশেষ সুযোগ।
# কোন প্রকার আলাদা প্রাইভেট টিউশন নেয়ার প্রয়োজন নেই ।
# প্রতি বছর কোর্স সমাপনীর পরে যোগ্যতা সাপেক্ষে ক্যাম্পাসের সহায়তা সরাসরি চাকুরীর সুযোগ।